শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:২৭ অপরাহ্ন
দির্ঘ এক বছর বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক থাকার পর মুক্ত বাতাস পেলেওে পেটে ভাত দেওয়ার কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছিলেননা জেসমিন আক্তার (৩৫)। স্বামী মো. আলী রানা পেশায় একজন ব্যবসায়ী হলেও করোনা আর স্ত্রীকে জেল থেকে বের করতে খরচ হয়েঝে জমানো টাকাগুলোও। কাজের সন্ধান করেও মেলেনি কোন কাজ। দুই সন্তানের লেখাপড়া আর খাবার খরচ না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়েছে জেসমিন আক্তারকে। অবশেষে সেই জেসমিনের মুখে হাসি ফোটালেন বরিশালের জেলা প্রশাসক।
জেসমিনের হাতে তুলে দিলেন সেলাই মেসিন। জেসমিন হাতের কাজ জানে। এই সেলাই মেশিন তার সংসারকে পুনরায় সাবলম্বি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। জেসমিন জানায়, ২০১৯ সালে ২লক্ষ টাকার একটি চেক জালিয়াতি মামলায় কারাগারে যেতে হয় তাকে। দুই সন্তানকে বাবার কাছে রেছে কারাগারে বন্দি জীবন কতটা কষ্টের সেই কথা মুখে প্রকাশ করার মত না। তিনি বলেন, বরিশাল সমাজ সেবা অফিসের মাধ্যমে বরিশালের জেলা প্রশাসক আজ আমাদের একটি আয়ের উৎস্য যুগিয়ে দিয়েছেন। আমি আবার ঘুরে দাড়াতে চাই।
স্বামী , ছেলে মেয়েকে নিয়ে নতুন ভাবে জীবন গড়তে চাই। জেসমিন বরিশাল নগরের আলেকান্দা কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা। একই ভাবে জেল ফেরত নুর নাহার (৪০) কেও একটি সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়েছে। নুরনাহার বরিশালের কাশীপুর এলাকার মালেক চাপরাসির স্ত্রী। জালের সাথে মারামারির মামলায় তিনি জেল খেঠেছেন। একটি সেলাই মেশিন পেয়ে মহা খুশি নুর নাহার।
সোমবার দুপুর দেড়টায় বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বরিশালে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে সেলাই মেশিন তুলে দেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার।
এসময় তিনি বলেন, এগুলো প্রধানমন্ত্রীর উপহার। এর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে হবে। একটি মেশিন দিয়ে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ১০টি মেশিন তৈরী করতে হবে।
এসময় বরিশাল সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আল মামুন , প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ উপস্থিত ছিলেন। এসময় বরিশাল বিএম কলেজে মাস্টার্স এ অধ্যায়ন রত শিক্ষার্থী আফসানা সুমীকে একটি সেলাই মেশিন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধি সুনতান (৫০)কে ১০ হাজার টাকা, করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্থ ইলেক্ট্রেশিয়ান আলমগীর হোসেনকে ইলেক্ট্রিক মালামাল ও তাসলিমা বেগম নামে এক নারী মৎস্য ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।